জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের বিরোধ সমঝোতা উদ্যোগ সফল হয়নি

প্রকাশিত: ২২ মার্চ, ২০২৩ ০৩:১১ (মঙ্গলবার)
জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের বিরোধ সমঝোতা উদ্যোগ সফল হয়নি

সংবাদ সম্মেলনে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদকরা। ছবি : সংগৃহীতজালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাবেক ৬ জন সাধারন সম্পাদক সংগঠনের বাড়ি ক্রয় নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা অবসানে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। উদ্যোগটি সফল না হওয়ার কথা তাঁরা সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন।

 ২০ মার্চ সোমবার সন্ধ্যায় জামাইকার হিলসাইডস্থ মতিন রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জালালাবাদ সংগঠনের সাবেক ৬ সাধারন সম্পাদকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জুনেদ এ খান,মিসবাহ মজিদ, আতাউর রহমান সেলিম, আব্দুল হাসিব মামুন,আহমেদ জিলু। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সংকট সমাধানে আমরা একটি সমঝোতাপত্র তৈরি করি। সভাপতি বদরুল খান এতে স্বাক্ষর করেন। সাধারন সম্পাদক ময়নুল এক সপ্তাহ ধরে তালবাহানা করার পর স্বাক্ষর প্রদান করে। স্বাক্ষর করার পরও ময়নুল সংগঠনের অর্থে কেনা বাড়ির কাগজপত্র ও খরচের হিসেব দিতেও গড়িমসি করেন। অনেক আলেচানার পর আরও ১ সপ্তাহ পর তিনি বাড়ি কেনার আংশিক হিসেব দাখিল করেন। এতে দেখা যায় বাড়ি ক্রয়কালে তিনি সংগঠনের তহবিল থেকে ৩ লাখ ৯ হাজার ডলার উত্তোলন করেছেন।

বাড়ি কেনার পর নাকি তিনি বাড়ির জন্য আরও ২ লাখ ৪০ হাজার ৯৮২ ডলার খরচ করেছেন। অন্যান্য খরচসহ সবমিলে বাড়িটি জালালাবাদ এসোসিয়েশনের নামে হস্তান্তর করতে প্রয়োজন হবে প্রায় ১ মিলিয়ন ২ লাখ ৫৯ হাজার ৩২ ডলার। আদৌ এ বাড়ির দাম এটা হবে কিনা, জালালাবাদের নামে বাড়িটি নিলে তা আর্থিকভাবে ক্ষতির কারন হবে কিনা তা যাচাই করার জন্য ময়নুলকে অনুরোধ করা হয় বাড়ির এপ্রেইজাল ও ইনসপেকশনে অনুমতি দেবার জন্য। কিন্তু এতে তিনি রাজি হন নি। এতে সমঝোতার উদ্যোগ বাধাগ্রস্থ হয়। সঠিক তথ্য বিবেচনায় না এনে বাড়িটি প্রশ্নে আলোচনা সঠিক হবে না। সাধারন সম্পাদক ময়নুলের অসহযোগিতায় সমঝোতা প্রক্রিয়া থেকে আমরা সরে দাঁড়াচ্ছি। তবে সমঝোতার স্বার্থে যে কোন পক্ষকে আগামীতে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক সাধারন সম্পাদক আবুল হাসিব মামুন বলেন, সাধারন সম্পাদক ময়নুলকে সাময়িকভাবে বহিস্কার সাংগঠনিকভাবেই হয়েছে। তবে তার চূড়ান্ত অনুমোদন নিতে হবে সাধারন সভায়। আমরা এই আলেচনা ও সমঝোতা উদ্যোগের গত দেড় মাস ময়নুল সাময়িক বহিষ্কারের আওতায় ছিলেন না। তার বহিষ্কারের আদেশ স্থগিত রাখা হয়েছিল সমঝোতার স্বার্থে । আগেরদিন পর্যন্ত তা স্থগিত ছিল। এটা আমরা করতে পেরেছিলাম উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে সংগঠনের স্বার্থে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক সাধারন সম্পাদক মিছবাহ মজিদ বলেন, রোকনকে সাধারন সম্পাদক ঘোষণা নিয়ম মোতাবেক হয়নি।

তিনি সহসাধারন সম্পাদক হিসেবেই কাজ চালিয়ে নিতে পারতেন সাধারন সভা পর্যন্ত। তবে ময়নুলকে সাময়িক বহিস্কার করা অবশ্যই সাংবিধানিক। তিনিতো ক্রিমিনাল অ্যাক্ট এর মতো কাজ করেছেন। কেন আমাদের এই উদ্যোগ ব্যর্থ হলো তা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জালালাবাদবাসীকে জানানো হলো। মজিদ বলেন, বাড়িটি জালালাবাদের জন্য নিয়ে বা না নিয়েও সমাধানের পথ খুঁজে বের করা যেত। কিন্তু বাড়িটির প্রশ্নে ময়নুল ইসলামের কোন সহযোগিতা আমরা পাই নি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বিবৃতি পাঠ করেন সাবেক সাধারন সম্পাদক জুনেদ এ খান।

সম্পাদক ও প্রকাশক: মোতাহার হোসেন

মোবাইল: ০১৩৩২-৮৪৫৬৯৯

তথ্য ও প্রযুক্তি সহযোগী - আইটি ল্যাব সলিউশন্স লি.