https://voiceofpeople24.com/

3939

art-literature

বিদ্যুৎ, বিদ্যানন্দ ও সিটি নির্বাচনের পোষ্টমর্টেম

প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল ২০২৩ ০৩:০২ | আপডেট : ০১ অক্টোবর ২০২৪ ০৭:২৩

Ovimotরাজনীতি বাঙ্গালীর জীবনে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে, চাইলেই এর থেকে বের হওয়া যায় না। হরতাল -মিছিল - সম্মেলন- কাউন্সিল না থাকলেও রাজনীতি আছে দেশে ও বিদেশে। বিদেশী রাজনীতিবিদরা এখন বেশ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। বিশেষ করে সিলেটের বিশ্বনাথ, জগন্নাথপুর ও সাম্প্রতিক সিলেট সিটিতে। আমাকে আখাউড়ার মেয়র কাজল ভাই বলেছিলেন, যারা বিদেশে রাজনীতি করেন তাদের দল মুল্যায়ন করে। তাই বিদেশে থাকলেও দলের সাথে সম্পৃক্ততা থাকা ভাল। আমরা দেখেছি অতীতে আওয়ামীগের ও বিএনপির অনেক মন্ত্রী বিদেশ থেকে হযেছিলেন। অনেক সময় দলের পরীক্ষিত নেতা কর্মীরা জেল জুলুম খাটলেও তারা মুল্যায়ন পান না। এ নিয়ে এক ধরনের হতাশা বিরাজ করছে। গতকাল রাতে গাজীপুর এর সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর সাহেবের আবেগময় বক্তব্য শুনলাম। তিনি নির্বাচনে আছেন। কে কার আশায় বসে থাকবে। ভোট দিবে জনগন, মার্কা অনেক জায়গায় কাজ করে না। 

বিদ্যুত, বিদ্যানন্দ, আনোয়ারুজ্জামান ও আরিফুল হক নিয়ে নামাজে আমি কনসেন্ট্রেড করতে পারিনা।

"Oh Allah you are the Forgiver, you love to forgive, so forgive me, " 

যখন ফেসবুকে যাই সিলেটে বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলা মনটা খারাপ করে দেয়। তবে সরকার সমর্থক যারা, তারা আরও বেকায়দায়, তারা কাউকে কিছু বলতে পারেন না। বিএনপির ভাইয়েরা ফেসবুকে মনের জ্বালা মেটান। আমি বিদ্যুৎ বিভাগের এই লাগামহীন অব্যবস্থাপনার নিন্দা জানাই।

এটা কেন হচ্ছে?  বিদ্যুৎ কেন যাবে, কেন বিদ্যুৎ এর সঠিক ভারসাম্য মেইনটেইন করা হচ্ছে না।

সন্ধ্যায় অফিস বন্ধ থাকে, সেহেরীর সময় অফিস ও মার্কেট বন্ধ থাকে। তাহলে কেন বিদ্যুতের লোডশেডিং। আপনারা যারা এই বিষয়ে ফেসবুকে লিখছেন, আপনারা ২০/৩০ জন বিদ্যুতের অফিসে যান। চাপ দেন। এটা কোন সাবোটাজ নয় কিনা সন্দেহ।

সামনে নির্বাচন কেউ সরকারকে বেকায়দায় ফেলছে কিনা সন্দেহ।

 

মার্কেটে এত আলোকসজ্জা কেন হবে। এরা বিদ্যু্ৎ পায় কোথায়। একেকটি দোকানে হাজার হাজার ওয়াট বিদ্যুৎ কেন ব্যবহৃত হবে। ভোক্তা অধিদপ্তর এর ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব কি সব দোকানের লাইট গুলো চেক করবেন প্লীজ।

সব গুলো বিপনি বিতান শহরের লোডশেডিং এর জন্য দায়ী।আমি মনে করি নাগরিকরা ফেসবুকে না লিখে ৯৯৯ এ কল করে অভিযোগ দেন, ঘর থেকে বেরিয়ে আসুন।

আওয়ামীগের জেলা ও মহানগরের দায়িত্বে যারা আছেন, আপনারা একটু খোঁজ নেন। এটা কি কেউ ইচ্ছাকৃত করছে কিনা। বিদ্যুতের সরবরাহ নিশ্চিত এ আপনারা সোচ্চার হবেন।

 

দুই / 

বিদ্যানন্দ নামের একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের পেছনে একটি এজেন্ডা নিয়ে কেউ কাজ করছে। যখন দেখা যাচ্ছে সেটা ভাল কাজ করছে, তখনই এর পেছনে কেউ লাগবে। বিদ্যানন্দ একটি অসাধারন প্লাটফর্ম, এটার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আকাশচুম্বী। আমি এটার পেছনে অনেক বিচার বিশ্লেষণ করে দেখেছি এটার পেছনে জড়িত তরুন সমাজ, যারা ম্যারপ্যাচ বুঝে না। কিছু একটা করতে চায় গরীবদের জন্য। বিদ্যানন্দের সব কিছু ক্লিয়ার। যারা বিরোধীতা করছেন, 

আপনাদের উচিত আপনার ইউনিয়নে বা আপনার জেলায় নিজের চেষ্টায় বিদ্যানন্দ কনসেপ্টে কিছু দাঁড় করানো। আপনি আপনার এলাকা, গ্রাম, ইউনিয়ন,জেলা, বিভাগে কাজ করেন। এটা একটা দাতব্য সংস্থা, ভুল সংশোধন করে উপদেশ দেন। হিংসার জন্য বিরোধীতা কেন করবেন। চ্যারীটি যারা করতে পারে, তারা কারও কথায় থেমে যায় না। এটার ২৫ শতাংশ মিসইউজ হবেই। বাংলাদেশের কয়েক হাজার এন জিও গত ৫০ বছর যাবত বিদেশের টাকা লুটে খেয়ে যাচ্ছে। সেখানে বিদ্যানন্দ একটি লাইট হাউস।

 

তিন /

"একজন আনোয়ারুজ্জামান" , টক অব দ্যা সিলেট। একজন পুরো মাত্রার প্রবাসী রাজনীতিবিদ। উনার লন্ডনের বাসায় গিয়েছিলাম, অতি স্বজ্জন ও ভদ্রলোক। আমার মত একজন সাংবাদিককে অসম্ভব সম্মান করেছিলেন।  দিন রাতের রাজনীতিবিদ। জীবনের পুরোটাই রাজনীতি করেছেন। উনাকে মেয়র নমিনেশন দেয়া হয়েছে। অনেকের সাথে আমিও খুশি। 

"তবে উনাকে কি খরচের খাতায় ফেলে দেয়া হল কিনা সন্দেহ" ?  

সিলেট মেয়র সিটটা আওয়ামী লীগের  খরচের খাতায়। আনোয়ার সাহেবের ৪২ ওয়ার্ডের কোন ধারনা নেই। নতুন ১৫ টি ওয়ার্ড অনেক ঝামেলার। উনার জন্য কে কাজ করবে?  আদৌ কেউ ক্যাম্পেইন এ থাকবে কিনা, সেটা জুনের প্রথম সপ্তাহে জানব। আনোয়ারুজ্জামান ভাইকে কেন্দ্রে একটি সম্মানিত পদ ( বিশেষ দূত)  বা রাষ্ট্রদূত বা উপমন্ত্রী বানালে অনেক ভাল হত। আমি ভুলে যাইনি, কামরান ভাইয়ের মত জনপ্রিয় নেতাকে হারানো হয়েছিল।

আল্লাহ ভাল জানেন। সামগ্রিক বিচারে  আনোয়ারুজ্জামান একজন আওয়ামীগের খাঁটি নেতা। 

"তবে উনাকে এই ঝুঁকিতে না ফেলে অন্যভাবে মুল্যায়নের সুযোগ ছিল" । 

 

চার /

আরিফুল হক, সৌভাগ্যবান একজন সিলেটি নেতা। দুবার মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গেছেন। মোমেন সাহেব ও আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সহযোগীতায় জনপ্রিয়।

 বদর উদ্দিন কামরান যখন মেয়র ছিলেন এম  সাইফুর রহমান কোন কাজই করতে দেন নি। ( আজ ইতিহাস উনাকে ফেলে দিয়েছে।) সেই হিসাবে আরিফুল হক বিএনপি ও আওয়ামীগের বেনিফিশারী। সাইফুর রহমান কমিশনার আরিফুল হককে দিয়ে সিটি চালিয়েছিলেন, কামরান ভাই তখন নামকাওয়াস্তে মেয়র।

 জনাব আরিফুল হক  ১৮ নং ওয়ার্ডের কমিশনারও হয়েছিলেন রাতের ভোটে, বাক্স লুট করে।  অনেকের আমার কথা বিশ্বাস হবে না, আপনারা ১৮ নং ওয়ার্ডে যান।

তবে জনাব আরিফুল হক, একজন ডায়নামিক নেতা। নানা ভীশনে কাজ করেছেন।  দৃষ্টিনন্দন  ভাল কাজ করেছেন ডক্টর মোমেন সাহেবের ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মোহিতের সাপোর্টে।

এখন তিনি নির্বাচন করবেন কিনা, সেটা নিয়ে দৌদুল্যমান। এম পি হবার বাসনাও ছাড়তে পারছেন না।  আমি চাই আরিফুল হক ও আনোয়ারুজ্জামান একটি ভাল লড়াই হউক। 

 

সিলেটবাসীও দুশ্চিন্তায়, আনোয়ারুজ্জামান স্মার্ট  ভীশন নিয়ে একাকার, কিন্তুু আরিফুল হক উত্তর- দক্ষিণ, লাল -নীল সীগনালে বেকুব বনে আছেন।